Ekramul Haque Titu
Ekramul Haque Titu
Mayor, Mymensingh City Corporation President, Mymensingh Mohanagar Awamileague
Ekramul Haque Titu

Blog

News

News

বদলে যাওয়া ময়মনসিংহ দেখবেন প্রধানমন্ত্রী

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

 প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২৩ । ১০:০৬ | আপডেট: ০৪ মার্চ ২৩ । ১০:০৬

   

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ময়মনসিংহ। আগামী ১১ মার্চ শহরের সার্কিট হাউস ময়দানে জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। এর আগে ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর একই স্থানে সমাবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে চার বছর পর এবার বদলে যাওয়া ময়মনসিংহ নগরীকে দেখবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

২০১৮ সালে ময়মনসিংহকে সিটি করপোরেশন করা হয়। ২০১৯ সালে প্রথম নির্বাচনের মাধ্যমে ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রাচীন এই নগরীতে গত চার বছরে রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। বদলে গেছে পুরো নগরী। দেশের নবীনতম নগরীর প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডের মূল সড়ক এবং অলিগলিতে চলছে সড়ক ও ড্রেনের নির্মাণকাজ।

তবে নবগঠিত এ সিটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও কিছু সংকট রয়েই গেছে। সড়ক প্রশস্ত না হওয়ায় যানজটের দুর্ভোগ চিরস্থায়ী রূপ নিয়েছে। শহরের ভেতরে প্রতিনিয়ত যানজটের কষ্ট পোহাতে হয় নগরবাসীকে।

সিটি করপোরেশনের সড়ক, ড্র্রেনেজ, অবকাঠামো নির্মাণ ও সেবা উন্নতকরণ প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকার প্রকল্পের মধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় ৫৬৩ কোটি টাকার কাজ চলমান আছে। আগামী বছর প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হবে। এর মধ্যে ৯৭ কিলোমিটার আরসিসি সড়ক, ৭৮ কিলোমিটার বিসি ও দুই কিলোমিটার সিসি সড়ক, ৮৫ কিলোমিটার ড্রেন এবং ৭ কিলোমিটার ফুটপাত তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য প্রকল্প থেকে ৮০ কিলোমিটার নতুন সড়ক এবং ৪৩ কিলোমিটার ড্রেনের কাজ সম্পন্ন করেছে সিটি করপোরেশন।

উন্নয়নের পরিবর্তন বিশেষ করে চোখে পড়ে সিটির অন্তর্ভুক্ত ২২ থেকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডগুলোতে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটিতে যুক্ত হওয়া এলাকাগুলোতে প্রশস্ত সড়ক ও ড্রেন পাল্টে দিয়েছে সেখানের মানুষের জীবনমান। এসব ওয়ার্ডের কোথাও শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে, আবার কোথাও রয়েছে চলমান। একই সঙ্গে এত উন্নয়নকাজ আরও কখনও হয়নি প্রাচীন এ নগরীতে।

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপ ড্রেনসহ বিভিন্ন এলাকায় ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক নির্মাণ করায় মূল সড়কের জলাবদ্ধতা সমস্যা মিটে গেছে। ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক উন্নত করায় নগরীর ভেতর দিয়ে বয়ে চলা খালগুলো থেকে পানি সহজে বের হবে। নগরীর দৃশ্যমান পরিবর্তনের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ১৬৫ কিলোমিটার এলাকা পোলসহ আধুনিক এলইডি বাতি স্থাপন করা। প্রায় ৪৯ কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে রাতের শহর হয়ে ওঠে মোহনীয়। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ঘটেছে বড় পরিবর্তন। শম্ভুগঞ্জের ডাম্পিং স্টেশন এলাকা দিয়ে আগে মানুষ দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করলেও সেটি এখন বদলে গেছে। রাত্রিকালীন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগরীর অন্তত ৫০০ টন দৈনিক বর্জ্য সংগ্রহে কিন সিটি এবং মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করা হয়েছে। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যও একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।  

ময়মনসিংহ নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল আমিন কালাম বলেন, আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে গত পাঁচ বছরে নগরীতে যে পরিমাণ পরিবর্তন হয়েছে, তা চোখে পড়ার মতো।

সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে স্বপ্নে ময়মনসিংহবাসীকে সিটি করপোরেশন উপহার দিয়েছেন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছি।